কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাটের হাসপাতাল রোডে অপরিকল্পিতভাবে হঠাৎ দুটি স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা প্রায়শ ছোট-বড় সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এ রোডের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে দেওয়া স্পিড ব্রেকারে নেই কোনো সাংকেতিক চিহ্ন। ফলে, সড়কে দূর্ঘটনা কমাতে সড়কে স্পিড ব্রেকার দেওয়া হলেও এটা এখন দূর্ঘটনার উৎস হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
যার কারণে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। আবার স্পিড ব্রেকার এতো উঁচু যে, এগুলোর উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় বেশ জোরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রায়ই ড্রাইভারদের সাথে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি ও বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি রোডে পারাপারে যাতায়াতকারী রোগী ও শিশুরা ঝাঁকুনিতে প্রায় অসুস্থ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ছে।
মোটর সাইকেল চালকেরা জানান, কয়েক দিন আগে হঠাৎ করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রোডের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পাড়ে উঁচু স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় গাড়ির গতি কমাতে গিয়ে রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, সিএনজি ও মোটর সাইকেল দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
যাতায়াতকারীরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এই স্পিড ব্রেকারের কারণে শুধু বড় বড় গাড়ি নয়, সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, মোটর সাইকেল ও সিএনজি চালকেরাও সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিদিন ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটছে। সাধারণত দূর্ঘটনা কমাতে সড়কে স্পিড ব্রেকার (গতিরোধক) তৈরী করা হয়। অপরদিকে, উপকারী স্পিড ব্রেকার আবার অনেক সময় ক্ষতিও করে।
নিয়মিত যাতায়াতকারীরা জানান, অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকারকে চিহ্নিত করে এক্ষুণি অপসারণ করা জরুরি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও মহাসড়কে দেওয়া স্পিড ব্রেকারের বেশির ভাগই অনুমোদনহীন। অপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় পর্যায়ে এগুলো তৈরি করা হয়েছে। সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান/ ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাজার, দোকান থেকে শুরু করে যত্রতত্র অবাধে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সড়ক বিভাগ তো দূরে থাক, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো অনুমতি নেওয়া হয় না। আর এসব স্পিড ব্রেকারকে সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে সড়ক নিরাপত্তা ইস্যুতে কর্মরত একাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা।
অতিক্রম লালমনিরহাটের নির্বাহী সদস্য এস এম হাসান আলী বলেন, লালমনিরহাটের সদর হাসপাতাল রোডে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত স্পিড ব্রেকার দুটির কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। ছোট-বড় সব ধরনের গাড়িই দূর্ঘটনার শিকার হয়। বিশেষ করে স্পিড ব্রেকারে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনার সংখ্যা বেশি।
তিনি আরও বলেন, স্পিড ব্রেকার অপসারণের পাশাপাশি সড়কে অতিপ্রয়োজনীয় স্থানে স্পিড ব্রেকারের পরিবর্তে রং বা সাংকেতিক চিহ্নের ব্যবহার হলে দূর্ঘটনা কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, মোটর সাইকেল দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে স্পিড ব্রেকার, বেশির ভাগ স্পিড ব্রেকার গুলো রঙ করা থাকে না ফলে রাইডার ও কার চালকরা দূর থেকে সেটি দেখতে পায় না, দেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করার পরও যদি স্পিড ব্রেকার গুলোতে রং দিয়ে চিহ্নিত করা না হয় তা হলে কি লাভ এই গুলো দিয়ে?
প্রসঙ্গত, যদি কোনো সড়কে স্পিড ব্রেকার (গতিরোধক) এর প্রয়োজন হয়, তবে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। এ বিষয়টি কোথাও মানা হয়নি।